এক কিলোমিটার কাঁচা সড়কে দুর্ভোগ ২০ হাজার মানুষের

১ সপ্তাহে আগে
মাথায় করে বস্তা ভর্তি সবজি নিয়ে আসছেন কৃষক শরিফুল ইসলাম। হাটু কাদার মধ্যে অন্তত এক কিলোমিটার পথ এভাবেই পাড়ি দিতে হয় তাকে। বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগের মধ্যেই উৎপাদিত ফসল ঘরে আনতে হয় তাকে।

শুধু শরিফুল একা নন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বসুন্দিয়া, কেয়াখালী ও খরশন্ডা গ্রামের ২০ সহস্রাধিক মানুষ এভাবেই যাতায়াত করেন।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, শরাফপুর ও সাহস ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বসুন্দিয়া-কেয়াখালীর গ্রামীণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে। মাত্র এক কিলোমিটার সড়কটির বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তিন গ্রামের বাসিন্দা।

 

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে পূর্ণ থাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকার পাশাপাশি পায়ে হেঁটে চলতেও বেগ পেতে হয় স্থানীয়দের। স্কুল-কলেজ এবং হাসপাতালে যেতেও দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

 

আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত

 

কেয়াখালী গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক বলেন, চলাচলের অনুপযোগী রাস্তার জন্য আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মাথায় করে কিংবা কাঁধে বহন করে পণ্য নিয়ে যেতে হয়। অসুস্থ থাকলে শ্রমিক নিতে হয়, তখন খরচ আরো বেড়ে যায়।

 

একই গ্রামের গৃহীনি খাদিজা বেগম বলেন, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। আমরা যে বের হয়ে প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে বা বাজারঘাটে যাবো তার কোনো উপায় নেই৷ হাঁটু কাদার মধ্যে যেতে হলে কাপড়ও নষ্ট হয়ে যায়। আমরা চাই এই রাস্তাটি যেনো পাকা হয়।

 

স্থানীয় শিক্ষক ও সমাজকর্মী মো. ওহিদুজ্জান বলেন, গ্রামগুলোর পার্শ্ববর্তী বিল এলাকায় সাড়ে ৮০০ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। গ্রামীণ সড়কটির বেহাল দশায় হাজার হাজার মাছচাষি ও সবজিচাষি দুর্ভোগে রয়েছেন। সড়কটি পাকাকরণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মিত হচ্ছে নতুন ৯টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘সড়কটির বেহাল দশার বিষয়ে জানিয়ে এলাকাবাসী একটি আবেদন করেছেন। জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন