সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয় সমন্বয় করেন তিনি।
এখনও খাতা দেখার কাজ চলছে জানিয়ে এ বিষয়ে অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় বা কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তিনবার পরীক্ষা পিছিয়েছে। এতে খাতা মূল্যায়নে শেষ করতে দেরি হচ্ছে। খুব শিগগির খাতাগুলো বোর্ডে চলে আসবে। এরপর ফলাফল তৈরি করে প্রকাশ করা হবে। আশা করছি ১৯ অক্টোবরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগে নতুন সিদ্ধান্ত
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ১২ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুযায়ী—লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—গত ২৬ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ১৩ আগস্ট পরীক্ষা শেষ হওয়ার থাকলেও কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতের পর পুনরায় সূচি প্রকাশ করায় পরীক্ষা শেষ হতে কিছুটা দেরি হয়।
এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় বসেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।
ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১, রাজশাহীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২, কুমিল্লায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০, যশোরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ ও চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৫ জন। এ ছাড়া বরিশালে পরীক্ষার্থী ৬১ হাজার ২৫, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ এবং ময়মনসিংহে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন। কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।