এর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। নেটিজেন ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশে ঘটে যাওয়া এত বড় দুর্ঘটনায় সারা দেশের মানুষ যখন শোকে স্তব্ধ, সেখানে শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত।
এমন সিদ্ধান্তে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘এই দেশের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কোথায়? তিনি কি করছেন? শিক্ষা উপদেষ্টা নাকি ইতোমধ্যেই মন্তব্য করেছেন আজকের ঘটনার সাথে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর সম্পর্ক কোথায়? কিভাবে পারেন?’
আরও পড়ুন: এইচএসসির খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম: ৮ পরীক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
সায়েরের পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন: ‘আইন উপদেষ্টা নাকি বিদেশ থেকে ডাক্তার আনবে, যদি প্রয়োজন হয়। বিদেশ থেকে উপদেষ্টা আনা যায় কিনা একটু দেখবেন প্লিজ। উপদেষ্টা আনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘আগামীকালের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করো ইন্টারিম! এমন ট্রাজেডির পর কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।’
মন্তব্যের ঘরে সোহা আক্তার সাদিয়া লিখেছেন: ‘এইচএসসি পরীক্ষার্থী রুবাইয়ের মা মাইলস্টোনে মারা গেছে। উপদেষ্টা সাহেব আপনি একটু আমাকে জানান উনি কি মায়ের লাশ দাফন করতে যাবে নাকি আগামীকাল পরীক্ষা দিবে? একটু দয়া করে জানান।’
জানা গেছে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে: রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র বা গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র।
]]>