এ বছর মামলা ৪০৩৮, জরিমানা সাড়ে ২৬ কোটি টাকা

২ দিন আগে
দূষণের বিরুদ্ধে গত এক বছরে পরিবেশ অধিদফতর এক হাজার ৬৩৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৪ হাজার ৩৮টি মামলার মাধ্যমে ২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় রাজবাড়ী ও সুনামগঞ্জ জেলায় পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক দুটি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে মোট তিনটি মামলা করা হয় এবং সাত হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ৬৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয়।


পাশাপাশি বাজার, সুপারশপ ও বিভিন্ন দোকান মালিক এবং সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও সতর্কতামূলক বার্তা দেয়া হয়।


একই দিনে ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় যানবাহন কর্তৃক মান মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযানে চারটি মামলায় মোট চৌদ্দ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকটি পরিবহনের চালককে সতর্ক করা হয়।


এছাড়া শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে ঢাকার কল্যাণপুর ও মিরপুর এলাকায় শব্দদূষণ বিরোধী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে সাতটি মামলার মাধ্যমে চব্বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১০টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন চালককে সতর্কতামূলক বার্তা দেয়া হয়।


আরও পড়ুন: রাজধানীতে অবৈধ গণপরিবহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ ও পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান


পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সারা দেশে যানবাহন কর্তৃক কালো ধোঁয়া নির্গমন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা/ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা ইত্যাদির বিরুদ্ধে মোট এক হাজার ৬৩৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।


এসব অভিযানে ৪ হাজার ৩৮টি মামলার মাধ্যমে ২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সময়ে ৪৮৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়, ২১৬টি ইটভাটাকে বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়, ১৩৩টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়, ২৫টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়, ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানের সেবা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।


পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের দূষণবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন