মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ সংক্রান্ত তিন পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায়ে স্বাক্ষর করেন। এরপরই ওই আদেশ প্রকাশিত হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, অন্য কোনো মামলা বা আইনি প্রক্রিয়ার কারণে আটক রাখার প্রয়োজন না থাকলে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্মূল্যায়নের পর আপিল বিভাগ মনে করে যে, আপিলকারীর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পেছনে ছিল ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন, যার ফলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী রায়ে আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রমাণ যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আপিলকারীর দোষী সাব্যস্ততা ও সাজা বহাল রাখা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে জামায়াত নেতাকর্মীদের শোকরানা নামাজ আদায়
এর আগে মঙ্গলবার আপিল বিভাগ আজহারকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি।
শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আজহার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনানি শেষে পুনরায় আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের এটি ছিল প্রথম মামলা, যা রিভিউ পর্যায়ে গিয়ে পুনরায় আপিল শুনানির সুযোগ পায়।
]]>