বিশ্বকাপ এলেই ছাদে ছাদে ভিনদেশি পতাকা। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তর্কের খাতিরে জমলেও, আক্ষেপটা লাল-সবুজ নিয়ে। সে আক্ষেপ মিটতে পারে, মেটাতে পারেন বাংলার নারীরা।
এশিয়ান কাপ শুধু এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড নয়, অঘোষিত বাছাইপর্ব বিশ্বকাপ আর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের। বাংলার নারীদের সামনে সুযোগ নিজেদের আকাশটা আরও বড় করার।
বাছাইপর্ব থেকে প্রথম দল হিসেবে এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াসহ সবশেষ আসরের ফলাফলের বিবেচনায় জায়গা পেয়েছে আরও চার দল। যাদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে আফইদা খন্দকারের দল। ১২ দলের টুর্নামেন্টে বাকি ৭ দল আসবে বাছাইপর্বের বাকি ৭ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ
আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়াতে হবে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা। ৩ গ্রুপে ভাগ হয়ে ১২ দল লড়বে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে। ৩ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর গ্রুপ রানার্স আপ সরাসরি, ৩ গ্রুপের সেরা দুই সেকেন্ড রানার্স আপ তাদের সঙ্গে খেলবে সেরা আটে।
২৯ জুলাই সিডনি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হবে ড্র। যেখানে প্রথমবারের মতো সিডিং পদ্ধতিতে বিবেচনায় নেয়া হবে ফিফা র্যাঙ্কিং। পিছিয়ে থাকায় লাভই হবে। ১২৮ নম্বরের বাংলাদেশ থাকবে একেবারে শেষ পটে। প্রথমটায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
৪ দলের গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ে থাকলেই মিলবে বিশ্বকাপ টিকেট। অবশ্য তৃতীয় হলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে খেলতে হবে প্লে অফ। ৬ মহাদেশের ১০ দলের মধ্যে দুই ভাগে করে হবে ইন্টার কনফেডারেশন প্লে অফ। এখান থেকে ৩ দল সুযোগ পাবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে।
আরও পড়ুন: এশিয়ান কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় শিষ্যদের প্রশংসায় বাটলার
বিশ্বকাপ না হলে অলিম্পিকেও খেলার সুযোগ আছে। এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ৮ দলকে নিয়ে হবে অলিম্পিক বাছাই। পাশ করলেই লস অ্যাঞ্জেলেস। যেখানে প্রথমবারের মতো পুরুষদের তুলনায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বেশি নারীদের।
আপাতত এশিয়ান কাপ ঘিরে প্রস্তুতি শুরুর অপেক্ষা বাংলার স্বর্ণকন্যাদের। হাতে সময় বাকি ৮ মাস। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন মাথায় রেখে মেয়েদের প্রস্তুতি ঠিকঠাক হলে, ব্রাজিল বিশ্বকাপে লাল-সবুজ পতাকা দেখার স্বপ্ন সত্যি হবার অপেক্ষায়।
]]>