ঋণের টাকা ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ, দাবি পাকিস্তানের

৩ সপ্তাহ আগে
কয়েক দশক আগে পাঁচটি দেশকে ঋণ হিসেবে দেয়া ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সরকারি অডিটে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। আর এই পাঁচ দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশও।

পাকিস্তানি সম্প্রচারমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

কূটনৈতিক ও সরকারি বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ৪০ বছরেরও বেশি সময় পরও ঋণ আদায়ের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

 

পাকিস্তানের সরকারি নথি অনুসারে, এই খেলাপি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরাক, সুদান এবং গিনি-বিসাউ। ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে, মূলত বাণিজ্য প্রকল্প এবং সরবরাহ খাতের জন্য রফতানি ঋণের মাধ্যমে এসব অর্থ দেয়া হয়েছিল। 

 

আরও পড়ুন: ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার

 

পাকিস্তানি মুদ্রায়, অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন রুপি ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কেবল ইরাকের কাছেই ২৩১.৩ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে - যা ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ। 

 

এছাড়া সুদানের কাছে ৪৬.৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশের কাছে ২১.৪ মিলিয়ন (বর্তমানে ডলারের হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬০ কোটি টাকার বেশি) এবং গিনি-বিসাউয়ের কাছে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার পাওনা আছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

 

অডিটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে চিনি কারখানা ও সিমেন্টের প্রকল্পের জন্য এ অর্থ দেয়া হয়েছিল। 

 

Pakistan is still chasing $304.5m in unpaid debts from Sri Lanka, Bangladesh, Iraq, Sudan & Guinea-Bissau — some pending for over 40 years.

Iraq alone owes $231.3m, audit officials reveal. Total in PKR exceeds Rs86bn.#SamaaTV pic.twitter.com/gnGe8dxCJp

— SAMAA TV (@SAMAATV) August 12, 2025

 

২০০৬-০৭ সালে পাকিস্তানের অডিটর জেনারেলের অফিস প্রথম এই সমস্যাটি তুলে ধরেছিল, কিন্তু তারপর থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সামা টিভির প্রতিবেদনে।

 

দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পররাষ্ট্র দফতর, কূটনৈতিক চ্যানেল এবং যৌথ মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারে বারবার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। খেলাপি দেশগুলোকে স্মারক পত্র এবং চাহিদা নোটিশও পাঠানো হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ‘প্রস্রাবের সুনামিতে’ ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি মিঠুনের!

 

স্থানীয় অডিট কর্মকর্তারা সুপারিশ করেছেন যে ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করার জন্য বিষয়টি সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে নেয়া উচিত। তারা জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী নিষ্ক্রিয়তার ফলে আরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, বিশেষ করে সময়ের সাথে সাথে রুপির মূল্য হ্রাসের কারণে।

 

সূত্র: সামা টিভি

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন