হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য ব্যথায় কাতরাচ্ছেন সুমাইয়া খাতুন। কেবল সিজারিয়ানের যন্ত্রণা নয়, হৃদয় ভেঙে গেছে নিজের সদ্যজাত সন্তানকে হারানোর শোকে। চোখে চোখ রাখার সুযোগও পাননি। নাড়িছেঁড়া ধনকে তুলে দিতে হয়েছে অপরিচিতদের হাতে। মাত্র ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে।
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলুলী গ্রামের সুমাইয়া খাতুনের স্বামী মারা যায়। ঋণ শোধ করতে সিদ্ধান্ত নেন সন্তান বিক্রির। অভিযোগ উঠেছে, ওই হাসপাতালের আয়া ইসমতারার প্রলোভনে ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে কুমিল্লায় বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪ মাসের সন্তান বিক্রির টাকায় নূপুর ও মোবাইল কিনলেন মা!
মা সুমাইয়া খাতুন সময় সংবাদকে বলেন, ‘৬৫ হাজার টাকা তারা দিয়েছে আমায়। এরপর বাচ্চাটা নিয়ে চলে গেছে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানির পর হাসপাতালে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শিশু বিক্রির অপরাধে সিলগালা করা হয় হাসপাতালটি। একইসঙ্গে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ক্লিনিক মালিক সেলিম রেজা বাবুকে। আটক করা হয় আয়া ইসমতারাকেও।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাটা এখন কুমিল্লাতে আছে। আমরা ওসির সঙ্গে কথা বলে যেভাবেই হোক বাচ্চাটা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতেছি।’
বর্তমানে সুমাইয়া মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য দ্রুত কুমিল্লায় অভিযান চালানোর কথা জানায় পুলিশ।
]]>