প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পর এবার সেই কুকুরগুলো ইউনের ব্যক্তিগত বাসভবনে না নিয়ে সিউলের একটি চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করেছেন ইউন সুক ইওল। এখন থেকে সিউল গ্র্যান্ড পার্কের চিড়িয়াখানায় এই কুকুরগুলো থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সব সময় প্রেসিডেন্টের বাসভবনেই থাকতো কুকুর দুটি। অবসর সময় কুকুরের সাথে বিনোদনের মাধ্যম সময় কাটতো সাবেক প্রেসিডেন্টের। ক্ষমতা হারানোর পর দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল রাজধানী সিউলের প্রেসিডেনশিয়াল বাসভবন ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
যদিও অনেকে ধারণা করেছিলেন ৮ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত বাসভবনে কুকুরগুলোকে নিয়ে যাবেন।
এগুলো মধ্য এশিয়ান শেফার্ড কুকুর। পূর্ণবয়স্ক প্রতিটি শেফার্ড কুকুরের ওজন ১০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। কুকুরগুলো বিশাল আকৃতির হওয়ায় যত্নের পেছনে খরচও ব্যয়বহুল যার কারণে ইউন কুকুরগুলোকে চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করেছে বলে ধারণ অনেকের। ইউন এবং তার স্ত্রী কিম কেওন হি এখন সিউলের সিওচোতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে থাকেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল পদচ্যুত
ইউন এবং তার স্ত্রী উভয়ই প্রাণীপ্রেমি হিসেবে বেশ পরিচিত প্রেসিডেন্টর বাসভবনে থাকাকালীন ১১টি পোষা প্রাণী রেখেছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট দম্পতি হ্যাপি এবং জয়কে তাদের আকার এবং নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে না নিয়ে চিড়িয়াখানায় দিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।
ইউন সুক-ইওল গত ৩ ডিসেম্বর হঠাৎই সামরিক আইন জারি করেন। এর ফলে দেশটি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিরোধিতা ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি দমনেই এই সিদ্ধান্ত জরুরি ছিল। তবে আইনপ্রণেতারা সামরিক আইন বাতিল করে দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন ইউন। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করায় পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসন করে।
গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত পার্লামেন্টের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে বহাল রাখে। সামরিক আইন ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে আদালত রায় দেয়।