নীলফামারীর সৈয়দপুর সারাদেশে শিল্প সমৃদ্ধ শহর হিসাবে পরিচিত। এখানে ১০.৯৩ একর জমির উপর সৈয়দপুর শিল্প নগরীতে রয়েছে ৪৯ টি শিল্প-কারখানা। বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী, পাট জাতীয় পণ্য,প্লাস্টিক ব্যাগ, হার্ডবোর্ড, পেরেক, এ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র, জৈব সার তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে।
পাকিস্তান আমল থেকে রেলওয়ে কারখানা থাকার সুবাদে শহরের আশপাশ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠে হালকা মেশিনারিজ কারখানা ও পাট রফতানীমূখী জুট বেলিং প্রতিষ্ঠান। সময়ের পরিবর্তনে স্বাধীনতার পর বিসিক শিল্প নগরী স্থাপনের পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠে প্রায় হাজারেরও অধিক শিল্প কারখান। বর্তমানে জুট বেলিং প্রতিষ্ঠান কমে গেলেও ৫ শতাধিক ছোট-মাঝারি হালকা মেশিনারিজ, পটের চট,বস্তা, প্লাস্টিক বস্তা,বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন,রাইস মিল,পেপার মিল, এ্যলুমিনিয়াম তৈজস পত্র,ইট ভাটা, প্লাই উড, হার্ডবোর্ড,ও কংক্রিট টিন ও টিন তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সৈয়দপুরে রেললাইনের পাত চুরির অভিযোগে রেলকর্মকর্তা আটক
কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান যত্রতত্র গড়ে উঠায় বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা সহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। ভারী প্রতিষ্ঠান গুলোর অধিকাংশই ফসলি জমির নষ্ট করে গড়ে ওঠেছে।
জমির মূল্য অত্যাধিক,বিদ্যুত, গ্যাস সমস্য, নিরাপত্তার অভাব ও ব্যাংক লোন পাওয়ার সুবিধা না থাকায় দেশি-বিদেশি কোনো উদ্যোক্তা সৈয়দপুর বা জেলায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে না। যদিও শিল্প স্থাপনের পণ্য পরিবহনে আকাশ,সড়ক ও রেলপথের সুবিধা রয়েছে এখানে।
বিসিক শিল্প নগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক আমিনুর রহমান, মো. মোস্তফা,রাজ কুমার পোদ্দার ও শওকত চৌধুরি বলেন, কারখানা বড় করার জন্য ও নতুন মেশিন আনার জন্য জায়গার প্রয়োজন কিন্তু কর্মকর্তাদের বার বার তাগাদা দিয়েও কোনো কাজ হয়না। তাদের কথা নতুন ভাবে প্লট বাড়ানোর তাদের কোন পরিকল্পনা নাই। ফলে উদ্যোক্তাদের ইচ্ছা থাকলেও নতুন শিল্পের প্রসার ঘটছে না।
আরও পড়ুন: সৈয়দপুরে কুটির শিল্প কারখানায় আগুন, ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর মশিউর রহমান বলেন, শিল্প কারখানার প্রসার ঘটাতে নতুন করে জায়গা সম্প্রসারনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
]]>