ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা আর বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। এছাড়া দেশে রয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা। সব মিলিয়ে বছর জুড়ে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে দেশের নিত্যপণ্যের বাজার।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের মাসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্যাকেটজাত প্রতিকেজি আটা বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা দরে। যা কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে চলতি মাসে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। আর ১১ মাসে ৮ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।
বছরের শুরুতে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এক কেজি চিনি। ১০ টাকা কমে গত জুলাইয়ে যা বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকায়। পরবর্তী ৫ মাসে চিনির দাম কেজিতে কমেছে আরও ১০ টাকা। গত জানুয়ারিতে উন্নত মানের মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১৩৫ টাকায়। তবে গত ৫ মাসে এই ডালের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম কম রাখতে কাজ চলছে: অর্থ উপদেষ্টা
উত্থান পতন দেখা গেছে ছোলার দামেও। বছর শুরুতে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকা। তবে জুলাইয়ে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি ছোলা ৯৫ টাকায় কিনেছেন ভোক্তারা। তবে ১৫ টাকা বেড়ে চলতি মাসে ১১০ টাকায় ছোলা বিক্রি হচ্ছে।
আর ১১ মাসে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১৪ টাকা। বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকায়।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারে। কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশে ব্যবহৃত অধিকাংশ পণ্যই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। যখন আমদানি ঘাটতি দেখা দেয়, তখন দাম কিছুটা বাড়ে। তবে দেশেই উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলে পণ্যের দামও স্বাভাবিক থাকে। সাম্প্রতিক সময়ের দাম বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, যার সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
তবে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে নিয়মিত বাজার নজরদারি তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, যখন বাজারে অস্থিরতা বাড়ে তখনই কেবল মনিটরিং বাড়োনো হয়। কিন্তু নিয়মিত তদারকি চালু থাকলে অসাধুরা কারসাজির সুযোগ পাবে না।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·