উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৩ সপ্তাহ আগে
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন দেড়শতাধিক। প্রাণ গেছে এফ সেভেন যুদ্ধবিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরেরও।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ আছড়ে পরে বিমান বাহিনীর এফ সেভেন বিজিআই নামে প্রশিক্ষণ বিমান। দোতলা ভবনের নিচ তলায় আঘাত লেগে মুহূর্তেই বিমানের ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায়ও। আতঙ্কে ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় যুদ্ধবিমানটিতে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন পাইলট। তবে দুর্ভাগ্যবশত মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

 

আরও পড়ুন: এফ সেভেন-বিজিআই যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন

 

জানা যায়, যে ভবনটিতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি, সেই ভবনে তখন নিয়মিত পাঠদান চলছিল। দুর্ঘটনার পর দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন সবাই। চিৎকার আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ।

 

একে একে বের করে আনা হয় হতাহতদের। ঘটনাস্থলে আসে আশেপাশে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স, গুরুতর আহতদের উদ্ধার কাজে যোগ দেয় হেলিকপ্টার। কয়েক দফায় হেলিকপ্টারে করে আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। হাসপাতালে নেয়ার পর বেশ কয়েকজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মৃত্যুর মিছিল।  

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানটি বিধস্ত হওয়ার সময় যে বিকট শব্দ হয় তা কোনো বোমার থেকে কম নয়। প্রথমদিকে ঘটনাস্থলে আগুনের তীব্রতায় কেউ কাছে পৌঁছাতে পারেনি।

 

আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বস্ত: ৮ জনের মরদেহ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর

 

ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে ও উদ্ধার কাজে যোগ দেয় তারা।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন