উত্তর কোরিয়ায় নজরদারি যন্ত্র বসাতে বেসামরিকদের হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র

১ সপ্তাহে আগে
উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০১৯ সালে নজরদারি যন্ত্র বসানোর অভিযানে উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে মার্কিন নেভি সিল টিম–৬।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, এ তথ্য ফাঁস ট্রাম্প–কিম পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যতকে গভীর অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে।

 

উত্তর কোরিয়া, এমন এক নাম যাকে ঘিরে রয়েছে দুর্ভেদ্য রহস্য আর কিম জং উনের সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ। যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করার সাহস কারও নেই বললেই চলে। অথচ অভিযোগ উঠেছে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করার উদ্দেশ্যে গোপনে পদক্ষেপ নেয় মার্কিন প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মিশনে নামানো হয় বিশ্বখ্যাত নেভি সিল টিম–৬-এর রেড স্কোয়াড্রনকে।

 

আরও পড়ুন:পশ্চিমাবিরোধী নেতাদের নিয়ে শক্তি দেখাল চীন, বিশ্বকে নতুন বার্তা?


নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে ভিয়েতনামে ট্রাম্প–কিম বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত নজরদারি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউস। রেড স্কোয়াড্রনকে টানা কয়েক মাস কঠোর অনুশীলনের পর মাঠে নামানো হয়। কিন্তু রাতের আঁধারে অভিযানের সময় হঠাৎই সামনে এসে পড়ে একটি উত্তর কোরীয় মাছ ধরার নৌকা। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য হত্যা করা হয় তিন বেসামরিক নাগরিককে। সেবারের মতো অভিযানে ব্যর্থ হয়ে ফেরত যায় দলটি।


এরপর উত্তর কোরিয়ার সামরিক তৎপরতায় হঠাৎ অস্বাভাবিক উত্থান দেখা দেয়। পিয়ংইয়ং আদৌ ঘটনার গভীরে পৌঁছেছিল কি না, তা এখনো অজানা। তবে ট্রাম্প–কিম বৈঠকে ব্যর্থতা এবং সমঝোতা না হওয়ার পেছনে এই রক্তাক্ত মিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যা আলোচনার পরিবেশকে আরও ভঙ্গুর করে তোলে। তাদের মতে, এ তথ্য ফাঁস ট্রাম্প–কিম পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।


এমন সংবেদনশীল একটি অভিযান প্রেসিডেন্টের সবুজ সংকেত ছাড়া সম্ভব নয় বলে দাবি গণমাধ্যমটির। যদিও এ বিষয়ে শুক্রবার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।

 

আরও পড়ুন:নতুন দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া, তদারকি করলেন কিম

 

এবার প্রশ্ন উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি কাঠামো ঘিরে। নিয়ম অনুযায়ী, কংগ্রেসের গোয়েন্দা কমিটিকে এ ধরনের অভিযান জানানো বাধ্যতামূলক হলেও অপারেশনটি গোপন রাখা হয়। শুধু তাই নয়, অংশগ্রহণকারী কিছু অফিসার পরবর্তীতে পদোন্নতি পান বলেও জানা গেছে। বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে তদন্ত শুরু করলেও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন