সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় ১৩তম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার বলেন, কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষের ধারণাকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা চাই কার্যকর উচ্চকক্ষ থাকতে হবে, এবং সেখানে প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে এটি কীভাবে গঠন হবে সে বিষয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে। উচ্চকক্ষে প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণে পিআর পদ্ধতির পক্ষেই এনসিপির অবস্থান। জেলা ও সিটি করপোরেশনভিত্তিক আসন বিভাজনের প্রস্তাব নাকচ করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: নারী আসন ও উচ্চকক্ষ নিয়ে বিএনপির অবস্থান জানালেন সালাহউদ্দিন
নারী আসনের বিষয়ে তিনি জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে সংসদে সরাসরি নির্বাচিত ১০০ নারী সদস্যের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যদিও প্রক্রিয়াগতভাবে তা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে— এ নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি, তবে মিশ্র পদ্ধতির (এফপিটিপি ও টপ-আপ) মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই, দলগুলো যেন তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে অন্তত ১৫ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দিতে বাধ্য থাকে। আমরা মনে করি, ৩৩ শতাংশের বিষয়টি এ মুহূর্তে কঠিন। সেই সঙ্গে টপ-আপ পদ্ধতির মাধ্যমে বাকি নারী আসনগুলো পূরণ করে সংসদে ১০০ নারী সদস্যের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।