বুধবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই আলোচনা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের ৩৮টি বিষয়ে আমরা দ্বিমত করলেও আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের মতপার্থক্য অনেকখানি নিরসন হয়েছে। ঐকমত্য গঠন ও জাতীয় সনদ তৈরিতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকবে
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সকিব আনোয়ার বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। কোনো একটা দল কাস্টিং ভোটের এক শতাংশও পায় তাদেরও একজন প্রতিনিধি আপার হাউজে থাকবেন। এরকম বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমাদের মতামত জানিয়েছি।
আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলো কিছু কিছু ছাড় দেবে–এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সবাইকে কাজ করতে হবে: আলী রীয়াজ
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থাকবে। কিন্তু কিছু মৌলিক জায়গায় আমাদের ঐকমত্যে আসতে হবে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ছাড় দেবেন–কমিশন এটাই প্রত্যাশা করে।’
কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু, শুধু কমিশনের আলোচনায় যথেষ্ট নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও তাদের সহযোগী এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একমত হয়ে জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
]]>