তিনজন ধর্মপ্রাণ বন্ধু হজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। পথে এক গ্রামে রাত্রিযাপন করার সময় তাদের একজন এক খ্রিষ্টান নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। প্রেমের মোহে সে ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে আর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
তার বাকি দুই বন্ধু হজ পালন করে নিজ দেশে ফিরে যায়। বহু বছর পর তারা তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারে, তাদের সেই বন্ধু ইতোমধ্যে মারা গেছে আর তাকে খ্রিস্টানদের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বন্ধুর কবর দেখতে গেলে তারা তার স্ত্রী ও সন্তানদের পায়। এই নারীর হৃদয়ে তখন সত্যের আলো উদয় হয়। সে উপলব্ধি করে, তার স্বামীর পূর্বের বন্ধুরা সত্য ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ফলে সে ও তার দুই সন্তান ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে।
এই ঘটনাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে। একজন জন্মগত মুসলিমও যদি ঈমানের ওপর অবিচল না থাকে, তবে তার শেষ পরিণতি কী হবে বলা যায় না। আবার, একজন অবিশ্বাসীও জীবনের কোনো এক পর্যায়ে সত্যকে চিনতে পারে এবং ইসলামের পথে আসতে পারে। তাই আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর নিকট সুস্থ, সুন্দর ও ঈমানদার পরিণতির জন্য দোয়া করা। ইমাম আস-সাফিরীর ভাষায়, মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কেউ কুফরির মধ্যে মারা যেতে পারে, আবার একজন কাফেরও ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করতে পারে। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের উচিত নিজের পরিণতি নিয়ে ভীত থাকা এবং আল্লাহর কাছে শুভ-মৃত্যুর জন্য দোয়া করা (আল-মাজালিসুল ওয়াজিয়্যাহ: ১/২৮৭)
]]>