ঘটনাটি দিনাজপুরের। নিহত গৃহবধূ তানিয়ার বয়স ছিল ২০ বছর। তিনি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ৪ বছর বয়সী একটি মেয়েও আছে তারা।
তানিয়ার পরিবারের অভিযোগ, ঈদের কেনাকাটা নিয়ে কোন্দলের জেরে অন্তঃসত্ত্বা তানিয়াকে হত্যা করেছেন তার স্বামী রুবেল। তানিয়ার ভাই আরিফ হোসেন এবং বাবা আবু তালেব বলেন, তানিয়ার শ্বশুর বাড়ি শহরের পুলহাট মিস্ত্রীপাড়ায়। সোমবার (৩১ মার্চ) সেখান থেকে জানানো হয়, তানিয়া মারা গেছেন। খবর পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে দেখেন, জামাতা রুবেলের শয়ন কক্ষে বিছানায় তানিয়ার মরদেহ পড়ে আছে।
'তানিয়ার শরীরে আঁচড়সহ আঘাতের চিহ্ন ছিল, মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে।' জানান তারা।

এদিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, ঈদের কেনাকাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। এর জেরে তানিয়া গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করে টাকা লুট
তবে তানিয়ার পরিবারের দাবি, রুবেল মাদকাসক্ত। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করত। নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বোনের হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন ভাই আরিফ হোসেন। মেয়ের এভাবে মৃত্যু কোনো অবস্থায় মেনে নিতে পারছেন না বাবা আবু তালেব। কোতয়ালী থানায় তিনি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মতিউর রহমান।