রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের চাচা চাচা মনিরুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মরদেহ হস্তান্তরের দাায়িত্বে থাকা আদাবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, লামিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গোসলের জন্য তাকে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে নেয়া হয়েছে। পরে গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: এত সুশীলতা দেখিয়ে লাভ নেই, ধর্ষণ ইস্যুতে সারজিস
কলেজের পরীক্ষা দেয়ার জন্য রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকালে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল লামিয়ার। সেজন্য আগের দিন শনিবার মার্কেট থেকে কিছু কেনাকাটাও করেন। রাত ৮টার দিকে মা রুমা বেগম ছোট মেয়েকে নিয়ে বাসার পাশেই মাদরাসায় যান। সেই সুযোগে রাত ৯টার দিকে রুমের ভেতর গলায় ফাঁস দেন জুলাই আন্দোলনে শহিদ জসিম উদ্দিনের ১৭ বছরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লামিয়া। টের পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়ার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুই বৃদ্ধ গ্রেফতার
গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে কলেজছাত্রী লামিয়া নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে নিজেই বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন। এ ঘটনার পর লামিয়াসহ পুরো পরিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সামাজিক লজ্জা, চাপ ও নানা শঙ্কায় লামিয়া চরম হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানায় শোকাহত পরিবার। মামলার পর আসামি সাকিব ও সিফাতকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে দুমকি থানা পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তবে মামলা হওয়ার পর আসামিদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পরিবারের।