ঈদুল ফিতরেও চামড়ার ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা

১ সপ্তাহে আগে
ঈদুল ফিতরে জবাই হওয়া প্রায় ৭০ হাজার গরু ও ছাগলের চামড়া এসেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার নাটোরে। ট্যানারি মালিকরা গরুর লবণযুক্ত চামড়া ১৩শ' থেকে ১৬শ' টাকায় কিনলেও কাঙ্ক্ষিত লাভ হচ্ছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। আর ন্যায্যমূল্যে চামড়া কেনার দাবি ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের।

গত ঈদুল ফিতরে জবাই হওয়া গরু ও ছাগলের চামড়া এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নাটোরে আনা শুরু হয়েছে। মান অনুযায়ী গরুর চামড়া ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ৪০ থেকে ১০০ টাকায় কিনছে প্রায় ২০টি ট্যানারি।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদে কাঁচা চামড়ার নিয়ন্ত্রণ কসাইয়ের হাতে থাকায় অতিরিক্ত দামে তাদের কিনতে হয়েছে। এ কারণে বর্তমান দামে তাদের কাঙ্ক্ষিত লাভ হচ্ছে না। চামড়া ব্যবসায়ী রকিব উদ্দিন কমল বলেন, ঈদুল ফিতরের অধিকাংশ চামড়া কসাইদের কাছে থাকে। তাই কসাইরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে। ফলে বেশি দামে কিনতে হয়।

 

কুষ্টিয়া জেলার রাশেদ বলেন, ১৩শ থেকে ১৪শ টাকায় কাঁচা চামড়া কিনতে হয়েছে। এরপর লবণজাত করতে আরও খরচ হয়েছে। পরিবহন খরচ রয়েছে। তাই বর্তমান দামে লাভ মিলছে না।

 

আরও পড়ুন: চামড়া-প্লাস্টিকের রফতানি আয় বাড়লেও মুখ থুবড়ে পড়েছে পাট

 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এ ঈদে চামড়ার মান ভালো থাকায় সর্বোচ্চ দামে কিনছেন তারা। তবে বিভিন্ন দেশে নতুন শুল্ক আরোপের কারণে আগামী ঈদুল আজহার চামড়ার দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে।

 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাখায়াতুল্লাহ বলেন, বিশ্বব্যাপী একটি বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। যেভাবে এক দেশ অন্য দেশের ওপর শুল্কারোপ করছে, তার প্রভাব চামড়ার ওপরও পড়তে পারে। তাই আসন্ন কোরবানিতে চামড়ার দাম নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।

 

দেশের চামড়ার বাজার চাঙ্গা করতে ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশে বাজার সৃষ্টি করার তাগিদ জেলার চামড়া ব্যবসায়ী নেতাদের। নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, দেশের চামড়ার বাজার প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে অনেকটাই জিম্মি অবস্থায় আছে। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো চামড়া কিনলে এ অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হবে।


প্রতিবছর নাটোরের বাজার থেকে প্রায় ১২ লাখ পিস চামড়া কেনেন ট্যানারি মালিকরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন