সোমবার (২ জুন) সকালে বরিশাল-ঢাকা রুটে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
জানা যায়, পহেলা জুন থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট সংগ্রহ করছেন যাত্রীরা। সড়কপথের ঝামেলা এড়িয়ে কিছু যাত্রী এখনও লঞ্চকেই বেছে নিচ্ছেন স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য।
টিকিট কাটতে আসা এক যাত্রী আবু সাইদ জানান, সড়কপথে যানজট থাকে। পরিবার নিয়ে যাতায়াত করলে লঞ্চে আরাম পাওয়া যায়, তাই আগেভাগেই টিকিট কেটে রাখছি।
লঞ্চ মালিক আকিজ ইসলাম জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে নৌপথে যাত্রী কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। আগে ঈদের সময় প্রচণ্ড চাপ থাকতো। এখন যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ৪২ ঘণ্টা পর সি-ট্রাক চলাচল শুরু
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক মো. সেলিম রেজা জানান, যাত্রী সেবায় রয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। ঈদের সময় যাতে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি না হয়, সে লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ৩ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে ঈদের বিশেষ সার্ভিস। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন চলবে ৬ থেকে ১০টি লঞ্চ। নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্য ও সুশৃঙ্খল যাত্রা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
এ দিকে, বিলাসবহুল বাস সার্ভিসগুলোও আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। তবে সাধারণ বাসে তাৎক্ষণিকভাবে টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জানান, যাত্রীর চাপ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যারা আগাম টিকিট চাচ্ছেন তাদের জন্য ভিআইপি সার্ভিস থাকছে, আর সাধারণ বাসে কাউন্টার থেকেই যাত্রার দিন টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জাল টিকিট, চাঁদাবাজি কিংবা বিশৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে থাকবে জিরো টলারেন্স।
তিনি আরও জানান, যদিও পদ্মা সেতুর কারণে ঈদে নৌপথে যাত্রীর চাপ কমে গেছে, তবুও যারা স্বাচ্ছন্দ্য আর নদীপথের অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য লঞ্চ এখনো রয়েছে জনপ্রিয় মাধ্যম। সময় বদলেছে, ভ্রমণের পছন্দেও এসেছে পরিবর্তন, কিন্তু ঈদযাত্রার অনুভব রয়ে গেছে আগের মতোই ঘরে ফেরা, প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের টান।