ইয়েমেনের জুকার দ্বীপে ‘রহস্যময় বিমান ঘাঁটি’, বানাচ্ছে কারা?

৩ সপ্তাহ আগে
ইয়েমেনের জুকার দ্বীপে নতুন এক বিমান ঘাঁটির দেখা মিলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হুতি-বিরোধী শক্তির নতুন কোনো প্রকল্পের অংশ হতে পারে এটি। যদিও এই ঘাঁটি কাদের, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ঘিরে হুতি-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই, ইয়েমেনের জুকার আইল্যান্ডে দেখা মিলেছে ‘রহস্যময়’ এক রানওয়ের। ধারণা করা হচ্ছে, ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়াতেই কোনো বিরোধী শক্তি এটি নির্মাণ করছে।

 

জুকার দ্বীপ ইয়েমেন উপকূল থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে, হুতি-নিয়ন্ত্রিত হুদায়দা বন্দরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এটি লোহিত সাগরের অন্যতম কৌশলগত দ্বীপ, যা বাব আল-মান্দেব প্রণালীর কাছাকাছি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

 

এই প্রণালী দিয়েই ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে তেল ও পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। ফলে দ্বীপে বিমানঘাঁটি গড়ে উঠলে, তা কেবল হুতিদের সমুদ্রপথে হামলা ঠেকাতেই নয়, বরং পুরো লোহিত সাগর অঞ্চল পর্যবেক্ষণেরও সক্ষমতা দেবে।

 

স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, এপ্রিল থেকে দ্বীপে ডক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আগস্ট নাগাদ প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় অ্যাসফল্ট বিছাতে দেখা গেছে। অক্টোবরের ছবিতে রানওয়ের লাইন আঁকা সম্পন্ন হয়। 

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলায় সামরিক প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল হুতি

 

কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই রানওয়ের মালিকানা স্বীকার করেনি। তবে একাধিক দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে।

 

জুকার দ্বীপ ১৯৯০-এর দশকে ইরিত্রিয়ার হাতে যায়। পরে ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রায়ে তা আবার ইয়েমেনের দখলে আসে। বর্তমানে এটি তারেক সালেহের বাহিনীর ঘাঁটি, যিনি সাবেক ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহের ভাতিজা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘনিষ্ঠ মিত্র। 

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘাঁটি মূলত হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ রোধ ও সমুদ্রপথে নজরদারির জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন