ইয়েমেনে গোলাবর্ষণ সৌদির

৩ সপ্তাহ আগে
ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সা’দা প্রদেশের ‍দুটি আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে সৌদি সেনারা। হামলায় বেসামরিক অবকাঠামো ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহর বরাতে এ খবর জানিয়েছে প্রেস টিভি।

আল মাসিরাহ-এর প্রতিবেদন মতে, গত শনিববার (৬ সেপ্টেম্বর) সা’দা প্রদেশের রাজিহ ও ঘামর জেলায় দুটি আবাসিক এলাকা লক্ষ্য গোলাবর্ষণ করে সৌদির সীমান্তরক্ষী সেনারা। হামলায় বেশ কিছু বেসামরিক অবকাঠামো ও সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি বা ধ্বংস হয়েছে।

 

তবে হামলার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রেস টিভির প্রতিবেদন মতে, সম্প্রতি ইসরাইলি আগ্রাসনের পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই সা’দা প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সৌদি বাহিনী গোলাবর্ষণ করছে। এতে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

 

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইয়েমেনে নিয়মিত হামলা চালালো হলেও এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিসরে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। এমনকি জাতিসংঘও খুব কমই মনোযোগ দিচ্ছে। এর সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তবর্তী সম্প্রদায়গুলোকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলা, আকাশসীমা বন্ধ

 

সৌদি আরব তার আরব মিত্রদের সহযোগিতায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্রের অস্ত্র ও রসদ সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে এক ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের (আনসারুল্লাহ বলেও পরিচিত) প্রতিরোধ আন্দোলন চূর্ণ করা এবং আবদে রাব্বু মনসুর হাদির রিয়াদপন্থি সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

 

লক্ষ লক্ষ ইয়েমেনি হতাহত হয়েছে। তবে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। ইয়েমেন এখন বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। 

 

এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন শুরু হলে তার জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হুতি যা গত প্রায় দুই বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। তবে এর জন্য তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। 

 

আরও পড়ুন: গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন