ইসলাম যেভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বলে

৩ সপ্তাহ আগে
ন্যায়বিচার ইসলামের অন্যতম মূলনীতি। রাষ্ট্র পরিচালনায় সবার প্রতি সমান আচরণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক; ধনী-গরিব, শক্তিশালী-দুর্বল সবার জন্য প্রযোজ্য। ইনসাফ ও ন্যায়পরায়ণতা রক্ষাই হলো বিচারের মূল উদ্দেশ্য।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,

 

اِنَّ اللّٰهَ یَاۡمُرُكُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰۤی اَهۡلِهَا ۙ وَ اِذَا حَكَمۡتُمۡ بَیۡنَ النَّاسِ اَنۡ تَحۡكُمُوۡا بِالۡعَدۡلِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ نِعِمَّا یَعِظُكُمۡ بِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا 

 

অর্থ: আর যখন তোমরা লোকদের মধ্যে বিচার মীমাংসা করো, তখন ন্যায়বিচার করো। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উত্তম উপদেশ দান করছেন। (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮)

 

আরও পড়ুন: শাম অঞ্চল নিয়ে কোরআন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে


আরেক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,

 

اِنَّ اللّٰهَ یَاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ وَ الۡاِحۡسَانِ وَ اِیۡتَآیِٔ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ یَنۡهٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡكَرِ وَ الۡبَغۡیِ ۚ یَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُوۡنَ 

 

অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকার্য ও সীমালঙ্ঘন করা হতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন; যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো। (সুরা নাহল, আয়াত: ৯০)

 

উপর্যুক্ত আয়াতটি যারা বিচারকার্য পরিচালনা করেন, তাদের সঠিকভাবে বিচার করতে উদ্বুদ্ধ করে। আর এ হচ্ছে, কোরআনের ভাষায় উত্তম উপদেশ। তাই ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ। আমাদের সমাজে যারা পারিবারিক ও বিভিন্ন ছোটখাটো বিষয়েরও বিচারক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেন, তাদেরও এখান থেকে উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করা কর্তব্য।

 

ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কখনো কোনো পক্ষের প্রতি ঝুঁকে পড়া উচিত নয়।

 

আর অন্যায় পক্ষপাতিত্ব করার তো সুযোগই নেই। মনে রাখা জরুরি, অন্যায় পক্ষ অবলম্বন করা পরিষ্কার জুলুম ও অন্যায়। দুই ব্যক্তির মধ্যে ইনসাফ করাও সদকা। আর ন্যায় বিচারক এবং ইনসাফকারীদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

 

اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন। (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ৯)

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো বিচারক যতক্ষণ পর্যন্ত জুলুম করেন না, (কারও ওপর অন্যায় জোর-জবরস্তিমূলক কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন না) ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তার সঙ্গে থাকেন। অতঃপর সে যখন জুলুম শুরু করে দেয়, তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে তার নিজের ওপর ছেড়ে দেন। (ইবনে মাজাহ)

 

আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ন্যায়বিচারক শাসক কিয়ামতের দিনে আল্লাহর আরশের ছায়ায় থাকবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮২৭)

 

আরও পড়ুন: আকিকার পর নাম পরিবর্তন করা যাবে?

 

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.) বলেছিলেন, 

 

যদি একটি কুকুরও ফোরাত নদীর পাড়ে ক্ষুধায় মারা যায়, তবে আমি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করব।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন