রোববার (০৬ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:গাজা ইস্যুতে সিসি ও ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন জর্ডানের রাজা
বিবৃতিতে তারা বলেন, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা পৃথিবীর সমস্ত নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়েছে। কথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী আমেরিকার বিবেক গণহত্যাকারী জায়োনিস্ট ইসরাইলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের ওপর বছরের পর বছর দখলবাজি ও বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সারখ্যাত দেশটি। অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বিকারচিত্তে শুধু দেখেই যাচ্ছে, কারণ ফিলিস্তিনিরা মুসলমান। মুসলমানের মানবাধিকার ‘নাই’ করে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ইতিহাসের চরম ভুল পথে হাঁটছে, যা তাদের জন্য আত্মঘাতী।
তারা বলেন, আমেরিকার জনগণকে আমরা সর্বোচ্চ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান করছি। এতে তাদের দায় রয়েছে। কারণ তাদের ভ্যাট ও ট্যাক্সের টাকায় ইসরাইলকে অবিরত সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের দাসত্ব গ্রহণ করা আমেরিকার ক্ষমতালোভী শাসকগোষ্ঠী। মার্কিন শাসকগোষ্ঠীকে এই রাষ্ট্রীয় দাসত্বনীতি থেকে বের করে আনার রাজনৈতিক উদ্যোগ আমেরিকার জনগণকেই নিতে হবে। জবাবদিহিতার মধ্যে তাদের শাসকগোষ্ঠীকে আনতে না পারলে পৃথিবীতে মানবতার কোনো মূল্যই আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের ডাক
নেতারা আরও বলেন, পৃথিবীর পরিশুদ্ধতা ও মানবতার অগ্রগতির জন্য অবৈধ জালিম রাষ্ট্র ইসরাইলের পতন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিন দখলকারী ও গণহত্যাকারী জায়োনিস্ট ইসরাইলকে থামাতে বৈশ্বিক জিহাদ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এর অংশ হিসেবে মুসিলম বিশ্বের সামরিক প্রতিরোধ, ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক তৎপরতা, প্রতিবাদী গণ-আন্দোলন ও ইসরাইলি পণ্য বয়কটের কর্মসূচি একযোগে বিশ্বব্যাপী পালন করতে হবে, যতক্ষণ না অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের সমূলে বিনাশ ঘটে। এক্ষেত্রে ধর্ম ও দল-মত নির্বিশেষে দুনিয়ার সমগ্র মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষের অংশগ্রহণ কাম্য।
সোমবার (৭ এপ্রিল) কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেন, গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বাদ যোহর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম এবং সমস্ত মাদরাসা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতাকে একযোগে বৈশ্বিক হরতাল পালনে শামিল হতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
]]>