ইসরাইলের অবরোধ: গাজায় অনাহারে ৫৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

২ সপ্তাহ আগে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার পাশাপাশি প্রকট আকার ধারণ করছে দুর্ভিক্ষ। খাদ্য ও ওষুধের সঙ্কটে এরমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ ফিলিস্তিনি।

রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলের অবরোধের ফলে অন্তত ৫৭ ফিলিস্তিনি নাগরিক ক্ষুধায় মারা গেছেন বলে গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

 

শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ থাকায় খাদ্য, শিশুদের দুধ, পুষ্টিকর উপাদান এবং জরুরি ওষুধ প্রবেশ করতে পারছে না।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় ফের বিমান হামলা ইসরাইলের, বেশ কয়েকজন হতাহত

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য ও ওষুধ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরাইল, এতে করে গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছেন। উপত্যকাটিতে এখন শুধু বোমা হামলায় নয়, ক্ষুধায় প্রাণ হারাচ্ছেন শিশুসহ অনেকে।

 

এদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, দ্রুত ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা না করা হলে অনাহারে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

 

এদিকে শনিবার দিনভর ইসরাইলি হামলায় শিশুসহ আরও ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিন রাতে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।

 

আরও পড়ুন: জিম্মি মুক্তি নয়, যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা: নেতানিয়াহু

 

গাজামুখী একটি ত্রাণবাহী জাহাজে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে। মাল্টার কাছে শুক্রবার কনসায়েন্স নামের জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলে উদ্ধারকাজে নামে টাগবোট। জাহাজে তুর্কি ও সুইডিশ নাগরিকসহ ১৬ জন ছিলেন।

 

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের দাবি, হামলায় ইসরাইল জড়িত। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি নেতানিয়াহু প্রশাসন। জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর বলেছে, এ হামলার স্বাধীন তদন্ত জরুরি। তাদের মতে, গাজা অবরোধ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যুদ্ধাপরাধের শামিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন