শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওস।
খবরে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের কাছে যেসব অস্ত্র বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে তার মধ্যে যুদ্ধবিমান এবং আক্রমণকারী হেলিকপ্টারগুলোর পাশাপাশি আর্টিলারি শেলের জন্য যুদ্ধ উপকরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অ্যাক্সিওসের মতে, অস্ত্র বিক্রির এই প্যাকেজের মধ্যে ছোট ডায়ামিটার বোমা এবং ওয়ারহেডও রয়েছে।
আরও পড়ুন:ইসরাইলি হামলায় হামাসের পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
তবে ইসরাইলের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করতে হলে আগে বাইডেন প্রশাসনকে এই চুক্তিটি কংগ্রেসের উভয় কক্ষে অনুমোদন পেতে হবে।
সূত্রগুলো অ্যাক্সিওসকে আরও বলেছে, ধাপে ধাপে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বেশিরভাগ সরবরাহ পৌঁছাতে এক বছর বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। এই চুক্তিটি বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের শেষ অনুমোদিত চুক্তি হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সমালোচনার পরও গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে নেতানিয়াহু সরকারের পাশে থেকেছে ওয়াশিংটন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে গাজায় ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধ বন্ধে নেয়া কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছে।
ওয়াশিংটন, ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মিত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটোও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেও গাজায় চলছে ধ্বংসযজ্ঞ, নিহত আরও ৬১
এদিকে আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নেবেন ডেমোক্র্যাট বাইডেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন রিপাবলিকান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা দুজনই ইসরাইলের শক্তিশালী সমর্থক।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য টাইমস অব ইসরাইল
]]>