ইসরাইলে হামলা: যে কারণে ইরানের প্রশংসা করল চীন

১ সপ্তাহে আগে
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) তাদের মধ্যে এ আলোচনা হয় বলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সিনহুয়ার খবরে জানানো হয়েছে।


আমির আব্দুল্লাহিয়ান সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে হামলার বিষয়ে তেহরানের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াংকে অবহিত করে বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হামলায় প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ইসরাইলে হামলাকে আত্মরক্ষার অধিকার বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 


বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরান সংযম প্রদর্শন করতে ইচ্ছুক এবং উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।

 

আরও পড়ুন: এবার ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল ইসরাইল


এসময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং যুদ্ধবিরতি, আঞ্চলিক শান্তি পুনরুদ্ধার এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য চীনের সক্রিয় সমর্থন চান।


চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ওয়াং বলেন, চীন দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশনে হামলার তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে। এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। 


ওয়াং বলেন, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে ইরানের জোরালো অবস্থানের প্রশংসা করে চীন। 

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলে ইরানের হামলায় মুখ খুললো রাশিয়া


তিনি আরও বলেন, তারা বিশ্বাস করে ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে রক্ষা করে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামাল দিতে সক্ষম। শুধু তা-ই নয়। তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও সক্ষম।


চীন ও ইরান ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার এবং চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য ইরানের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক বলেও জানান ওয়াং।

 

আরও পড়ুন: সতর্ক অবস্থানে তেহরান /ইসরাইল কী ইরানে সরাসরি হামলা চালাবে?


গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।


শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন