রোববার (২৭ এপ্রিল) টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, ইসরাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, রোববার অধিকৃত ফিলিস্তিনের দক্ষিণে নেগেভ অঞ্চলের নেভাতিম বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি তার লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সশস্ত্র বাহিনী স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ‘এই অভিযান নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের যোদ্ধাদের জন্য একটি বিজয় এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শত্রুর পরিচালিত গণহত্যার জবাব।’
আরও পড়ুন: গাজায় আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত, কায়রোতে হামাস প্রতিনিধিদল
ইসরাইলি গণমাধ্যমও হুতির ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরাইলি ওয়াইনেটনিউজের প্রতিবেদন মতে, রোববার ইয়েমেন থেকে আরাভা মরুভূমিতে হুতির ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী আইডিএফ। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) এই নেভাতিম বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুতি। এদিনও মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ওয়াইনেটনিউজে শনিবারের ওই হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই হামলার ব্যাপারে ইয়াহিয়া সারি জানান, গাজার নির্যাতিত জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনে মার্কিন সমর্থনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ এই হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি বোমায় একই পরিবারের ১২ সদস্য নিহত
মুখপাত্র সারি বলেন, এই হামলায় একটি প্যালেস্টাইন-২ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। যেটি সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একে থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মূলত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনিরা হামাস ও ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করে এবং ক্রমাগতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে।
তাদের এসব হামলার ফলে ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যখন হাইপারসনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা সামনে এসেছে।
ইয়েমেনি বাহিনী কেবল ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলোতেই হামলা চালাচ্ছে না। তারা ইসরাইলি আগ্রাসনে সমর্থনকারী মার্কিন ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজের বিরুদ্ধেও অভিযান ও হামলা চালিয়ে আসছে।
]]>