ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) জারি করা একটি বিবৃতিতে, ইসরাইলের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতে প্রথমবারের মতো ‘খাইবার-শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে-
বিবিসি বলছে, খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সবশেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি।
এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘খোররামশহর-৪’ নামে পরিচিত। ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের চতুর্থ জেনারেশন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের ময়দানে এবার ইরানের ভয়ংকর মিসাইল ‘খাইবার-শেকান’
২০০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘খাইবার’ ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলোর মধ্যে একটি।
তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতাও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির।
ইরানে নির্মিত এর আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেকটাই নির্ভুলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম খাইবার।
প্রযুক্তিগতভাবে খাইবারের সর্বোচ্চ গতি বায়ুমণ্ডলের বাইরে আনুমানিক ম্যাক ১৬, যা শব্দের গতির ১৬ গুণ এবং এর ভেতরে আনুমানিক ম্যাক ৮।
আরও পড়ুন: আইআরজিসির হুঁশিয়ারি /অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, এবার পরিণতি ভোগ করবে
প্রযুক্তিগতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই শক্তিশালী যে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো বেশ কঠিন।
সূত্র: বিবিসি
]]>