কাসেম জানান, হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার দাবিতে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের চাপ সত্ত্বেও, তা মেনে নেবে না গোষ্ঠীটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেবাননের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস ব্যারাকের অনুরোধের জবাবে এসব কথা জানান কাসেম। এর আগে হিজবুল্লাহকে বছরের শেষ নাগাদ নিরস্ত্র করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন থমাস ব্যারাক। এর অনুরোধের সাড়া দিয়ে জবাব দেন হিজবুল্লাহ নেতা কাসেম।
আরও পড়ুন:গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যা বললেন হিজবুল্লাহ প্রধান
হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে কাসেম বলেন, ‘এই (ইসরাইলি) হুমকি আমাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করবে না।’
গত বছর ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের পর ক্ষমতা গ্রহণকারী লেবাননের নেতারা বারবার অস্ত্র বহনের উপর রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সাথে ইসরাইলকে নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি মেনে চলার দাবি জানিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরে ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হন কাসেম। তিনি বলেন, গোষ্ঠীর যোদ্ধারা অস্ত্র ত্যাগ করবে না এবং জোর দিয়ে বলেন যে, প্রথমে ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননে অবস্থান দখল করে আছে এবং দেশটিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, তারা হিজবুল্লাহকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে এবং গোষ্ঠীটিকে নিরস্ত্র করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ বৈরুত নিচ্ছে না।
অন্যদিকে কাসেম আরও বলেন, ইসরাইলকে প্রথমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে হবে, অধিকৃত অঞ্চল থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নিতে হবে এবং আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া গত বছরের যুদ্ধের সময় আটক বন্দিদের মুক্তি দেয়া এবং লেবাননে পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন:নতুন হিজবুল্লাহ প্রধানের কাউন্টডাউন শুরু: ইসরাইল
সূত্র: আল জাজিরা