ইসরাইলি হামলায় ‘বসবাস অযোগ্য’ হয়ে গেছে রাফাহ

২ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা মানবিক বিপর্যয় এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে। এই হামলা সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনের ওপর সব দিক থেকেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।

এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসটি বলেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ‘নিরাপত্তাহীন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবকাঠামো, গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা এবং আবাসিক বাড়িগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে।’ 

 

ফলে শহরটি ‘বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে। 

 

আরও পড়ুন: আইসিসির রায় উপেক্ষা /নেতানিয়াহুর বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিলো ফ্রান্স!

 

তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ  শহরের ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর, ২৪টি পানির কূপের মধ্যে ২২টি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৮৫ শতাংশেরও বেশি এবং আটটি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। 

 

এছাড়া সেখানকার ১২টি চিকিৎসা কেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে।

 

এদিকে, হামলার মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ গাজার ভেতরে নতুন করে একটি ‘নিরাপত্তা করিডর’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। এরইমধ্যে তারা দক্ষিণের রাফাহ শহরকে বাকি গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ‘মোরাগ করিডর’ স্থাপন করেছে। 

 

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, করিডরটি গাজার পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ গত বুধবার নতুন এই করিডরের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এটি রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। 

 

আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের ডাক

 

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, মোরাগ ছিল একটি ইহুদি বসতি, যা রাফাহ ও খান ইউনিসের মাঝামাঝি অবস্থান করত। নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন, করিডরটি এই দুই শহরের মধ্য দিয়ে যাবে।

 

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন