ইন্টারন্যাশনাল লিগ অব পিপলস স্ট্রাগল, ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ফ্রন্ট এবং পিপলস কোয়ালিশন অন ফুড সভরেনটি যৌথভাবে এই ট্রাইব্যুনাল আয়োজন করেছে। আয়োজকরা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বিচার প্রক্রিয়া প্রায়ই রাজনৈতিক চাপের কারণে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। সেই শূন্যতা পূরণ করতে জনগণের এই বিকল্প ট্রাইব্যুনাল।
এই ফোরামে যুদ্ধাপরাধের প্রত্যক্ষদর্শী, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সাক্ষ্য দেবেন। তাদের মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জোরপূর্বক অনাহার, দখলদারিত্ব এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর ভূমিকাও তুলে ধরা হবে এই ট্রাইব্যুনালে। বিশেষ করে এসব দেশের অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন—কীভাবে ইসরাইলের যুদ্ধ অপরাধ সহায়ক হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজায় খাদ্য সরবরাহ বাড়লেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল : জাতিসংঘ
এছাড়া ইহুদিবাদী-নেতৃত্বাধীন তথাকথিত বেসরকারি সংস্থা এবং গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মতো বিতর্কিত সংগঠনের ভূমিকা নিয়েও আলোকপাত করা হবে। এই ফোরামের মাধ্যমে বিশ্ববাসী নতুন করে যুদ্ধাপরাধের বাস্তবতা উপলব্ধি করবে এবং আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির পথ প্রশস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করেছে ইসরাইল।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালিয়ে তিনটি শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোর করে উচ্ছেদ করেছে ইসরাইল, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল: জাতিসংঘ
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি ইসরায়েলের কথিত ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’–এর বিশ্লেষণ তুলে ধরে। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে চালানো এই বৃহৎ সামরিক অভিযান ২১ জানুয়ারি জেনিন শরণার্থী শিবিরে শুরু হয়। পরে তা তুলকারেম, নুর শামসসহ দখলকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের আরও বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
]]>
১ দিন আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·