গাজাকে গুঁড়িয়ে মৃত্যু উপত্যকা তৈরির পরও থামছে না ইসরাইল। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) গাজার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী।
এতে একই পরিবারের ১২ জনসহ প্রাণ হারান অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিতি। আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করা অবস্থায় নিহত হয় তিন শিশু। জাবালিয়ার ব্যস্ত বাজার এলাকায়ও হামলা করে ইসরাইলি সেনারা।
অব্যাহত হামলার মধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গোপনে গাজার 'মানবিক অঞ্চল' হিসেবে চিহ্নিত এলাকা বাতিল করে দিয়েছে ইসরাইল। গত মাস থেকে পুনরায় হামলা শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ গাজার একটি ছোট অঞ্চলকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছিল। যা পরে খান ইউনুস, দেইর আল-বালাহ ও আল-মাওয়াসি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। এইসব এলাকায় নিরাপত্তার আশায় আশ্রয় নিয়েছিল এক লাখেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: গাজায় জাতিসংঘ কর্মীকে হত্যার কথা স্বীকার ইসরাইলের
সংঘর্ষের মধ্যে ব্যাপক খাদ্য সংকটে ভুগছেন ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার বেইত লাহিয়ায় একটি স্যুপ কিচেনে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ খালি হাঁড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন খাবারের অপেক্ষায়।
মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বেকারি, ফুরিয়েছে বাজারের খাদ্যপণ্য। জরুরি খাবার বিতরণ কার্যক্রমও প্রায় শেষের পথে।
এদিকে বৃহস্পতিবার জার্মানির অ্যাউশভিৎস কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে 'মার্চ অব দ্য লিভিং' স্মরণানুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গাজা যুদ্ধ ও জিম্মি ইস্যু নিয়ে কথা বলেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদাও ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট ইজাক হারজোগ।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জানান, গাজায় সংঘাতের অবসান নিয়ে আশাবাদী তিনি। এসময়, গাজার জিম্মি সংকটকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে দাবানল / পুড়ে ছাই ২৫০০ একর জমি, ২০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণহীন আগুন!
অন্যদিকে ইসরাইল থেকে গোলাবারুদ কেনার ৭৫ লাখ ডলারের বিতর্কিত চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন। এর আগে বামপন্থি দলগুলোর জোট হুমকি দিয়েছিল যে, এই অস্ত্রচুক্তি বহাল থাকলে তারা সরকার থেকে বেরিয়ে যাবে।
]]>