ইসরাইলি ড্রোন-যুদ্ধবিমানের গর্জন থেমে গেছে, বহুদিন পর শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন গাজাবাসী

১১ ঘন্টা আগে
ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজায় ইসরাইলি ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও কামানের গর্জন থেমে গেছে। ফলে গাজাজুড়ে এক ধরনের স্বস্তি ও শান্তি নেমে এসেছে। বহুদিন পর একটু শান্তিতে ‍ঘুমাচ্ছেন গাজাবাসী। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।

গাজায় সংঘাত বন্ধে মিশরে গত সোমবার থেকে শুরু হয় হামাস-ইসরাইল পরোক্ষ আলোচনা। টানা তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার প্রথম দফা কার্যকারে একমত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস। রাতেই যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

 

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, যুদ্ধবিরতির খবর ঘোষণার পরও গাজায় বেশ কিছুক্ষণ হামলা চলে। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা সিটির পশ্চিমে বোমা হামলা চালায়, যা আল শাতি শরণার্থী শিবিরের অন্তত একটি বাড়িতে আঘাত হানে।

 

ইসরাইলি বাহিনী গাজা শহরের দক্ষিণে সাবরা পাড়ার কাছে বিস্ফোরক বোঝাই একটি সাঁজোয়া যানের বিস্ফোরণ ঘটায়। যদিও এসব হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এরপর গভীর রাতের দিকে হামলা বন্ধ হয়ে যায়। 

 

আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত ইসরাইল-হামাস

 

প্রতিবেদন মতে, ইসরাইলি ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও কামানগুলো নিরব হয়ে যায়। আল জাজিরার গাজা সংবাদদাতা হানি মাহমুদ লিখেছেন, ‘গত রাত (মঙ্গলবার) এবং আগের দিনের তুলনায় বুধবারের রাতটি একেবারেই আলাদা। আমরা অনেক তাঁবুর একটা এলাকা এবং উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থানগুলোতে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম এবং আক্ষরিক অর্থেই আমরা রাস্তায় কোনো মানুষ দেখিনি। সবাই তাঁবুর ভেতরে ঘুমাচ্ছে।’

 

তিনি আরও লিখেছেন, ‘গত সপ্তাহগুলোতে গাজার ফিলিস্তিনিরা এই সুযোগ পাননি। ড্রোন হামলা, যুদ্ধবিমান, উপত্যকাজুড়ে অবিরাম বোমাবর্ষণের ফলে হুমকি এবং ক্রমাগত বিপদের কথা তাদের জানা ছিল। যে কারণে তারা সর্বদা সতর্ক থাকত। কিন্তু আজ রাতে যখন আমরা একটি উদ্বাস্তু আশ্রয়কেন্দ্রের গাড়ি চালিয়ে গেলাম, তখন যা দেখলাম তা অস্বাভাবিকভাবে আমাদের অবাক করে দিয়েছে, সবাই ঘুমাচ্ছে বলে মনে হলো।’

 

হানি মাহুমদ আরও লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আজ রাতটি একটি শান্ত রাত বুঝতে পেরেই তারা তার সুযোগ নিচ্ছে। আজ তাদের জাগিয়ে রাখার জন্য কোনো ড্রোন উড়ছে না। কোনো যুদ্ধবিমান নেই। কোনো ভারী কামান নেই। এবং যখন আমি এটা দেখলাম, তখন আমার মনে হলো, তাদের আসলেই ভালো ঘুমের দরকার।’ 

 

আরও পড়ুন: গাজা ফ্লোটিলার ১৩০ অধিকারকর্মীকে জর্ডান পাঠালো ইসরাইল

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন