বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে আরও দুইজন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তরের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড।
বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। চুক্তির আওতায় নিজেদের জিম্মায় থাকা সব জীবিত ইসরাইলি বন্দি ও যেসব মরদেহ উদ্ধার সম্ভব সেগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অবশিষ্ট মরদেহগুলো উদ্ধারে বিশেষ সরঞ্জাম ও ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: গাজায় যৌথ টাস্কফোর্সে যোগ দিতে প্রস্তুত তুরস্ক
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) হামাস ২০ জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তি পায় প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি মরদেহের বিনিময়ে ২৮ মৃত ইসরাইলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেবে হামাস। চুক্তিতে মরদেহ ফেরত দেয়ার জন্য কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরাইলি মরদেহগুলো খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই বছর গাজায় ইসরাইলের হামলায় উপত্যকার ৮৩ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুক্তি মেনে আরও ২ জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দিলো হামাস
প্রতিবেদন মতে, ইসরাইলি মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে চাপা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিছু মরদেহ হয়তো কখনও উদ্ধার করা যাবে না।
বুধবার পর্যন্ত হামাস নয়টি ইসরাইলি মরদেহ হস্তান্তর করেছে। অন্যদিকে ৯০ ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফেরত দিয়েছে ইসরাইল।
গাজায় এখনো ১৯ ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ রয়েছে। আর ইসরাইলে আনুমানিক ৭০০ থেকে ৪ হাজারের মতো ফিলিস্তিনির মরদেহ রয়েছে। কিছু মরদেহ ১৯৬৭ বা তারও আগের।

১ সপ্তাহে আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·