ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ১৮৩ ফিলিস্তিনি

৪ সপ্তাহ আগে
ইসরাইলি কারাগার থেকে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময়ের পঞ্চম ধাপে তিন ইসরাইলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এসব ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্তরা এরই মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।বন্দি ‍মুক্তির জন্য দেইর-আল বালাহ শহরে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে কয়েকশ হামাস যোদ্ধা উপস্থিত ছিল। মঞ্চ থেকে তিন ইসরাইলি বন্দিকে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রস কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

 

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন এলি শারাবি (৫২), ওর লেভি (৩৪) ও ওহাদ বেন আমি (৫৬)। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে হামলার সময় বেন আমি ও শারাবিকে ইসরাইলের কিবুৎজ বেরি এলাকা থেকে আটক করা হয়। আর লেভিকে আটক করা হয় নোভা সঙ্গীত উৎসব থেকে।

 

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর উদ্ভট বক্তব্য / ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরবে অনেক জায়গা আছে

 

এর মধ্যদিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ২১ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিপরীতে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেল ৫৬৬ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে পঞ্চম দফায় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হল। গত সপ্তাহে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে গাজ গাজা দখলের পরিকল্পনার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসা ‘বুদ্ধিমানের কাজ নয়’: খামেনি

 

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের অন্য কোনো দেশে পাঠানো হবে। নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় সমর্থন জানান। তবে আরব দেশগুলো ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন