আগামী বছর কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ। কনমেবলসহ বেশ কিছু অঞ্চলের দেশ ইতোমধ্যে মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তবে ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্ব এখনো চলমান। মূল আসরে স্পেন জায়গা নিশ্চিত করবে সেটা নিয়ে কারও সংশয় নেই। এদিকে বাছাইপর্বে ভালো অবস্থানে আছে ইসরাইলও। তবে দেশটি গাজায় গণহত্যাসহ যে অমানবিক আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপে খেলার পক্ষে নয় স্পেন।
স্পেনের সমাজতান্ত্রিক দলের মুখপাত্র পাত্রি লোপেস মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ২০২৬ বিশ্বকাপে ইসরাইল অংশ নিলে স্পেনেরও খেলা থেকে সরে দাঁড়ানোর পথ খোলা থাকবে। ইউরোভিশন কনটেস্টের মতো ফুটবলেও ‘একই নীতি’ অনুসরণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। ইউরোভিশন কনটেস্ট হচ্ছে ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের অধীনে আয়োজিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। সেখানে ইসরাইল অংশ নিলে স্পেন প্রতিযোগিতাটি বয়কট করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
লোপেস বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে। প্রতিদিন আমরা টেলিভিশনে শিশুদের হত্যা হতে দেখি, মানুষকে খাদ্যের খোঁজে বের হলে গুলি করা হয়, গোটা শহর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি আত্মরক্ষা নয়, এটি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই নয়—এটি গণহত্যা।’
আরও পড়ুন: ফিফার থেকে অর্থ পাবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলোয়াড় ছাড়া ক্লাবগুলো
লোপেস আরও জানান, স্পেনের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ঘটনায় প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন, যেমনটা দেখা গেছে সম্প্রতি ‘লা ভুয়েল্তা’ সাইক্লিং প্রতিযোগিতায়। ‘আমাদের জনগণ মরতে থাকা মানুষদের প্রতি নীরব সমর্থন দিতে চায় না। তাই ইসরাইলি দলকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরলে প্রতিবাদ হবেই। এটিই হলো একটি মর্যাদাবান জাতির চিহ্ন।’
এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গত সপ্তাহে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিতে হবে। রাশিয়া যেমন ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর ফিফা ও উয়েফা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল, ইসরাইলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: জাপানের বিমানবন্দরে ধরা খেল পাকিস্তানের 'নকল' ফুটবল দল
ইসরাইল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘আই’ গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গ্রুপের শীর্ষে থাকা নরওয়ের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালির সমান ৯ পয়েন্ট তাদের। তিন ম্যাচ বাকি থাকায় প্লে-অফে খেলার বাস্তব সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে, আর দ্বিতীয় স্থানের দলকে লড়তে হবে প্লে-অফে।
]]>