ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতি ‘লঙ্ঘনে’ উদ্বেগ কাতারের

২ সপ্তাহ আগে
ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতি ‘লঙ্ঘনে’র খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি। তিনি বলেছেন, কাতার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে লঙ্ঘনের খবরে উদ্বিগ্ন তার দেশ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক বিবৃতিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সকালে যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন দেখা গেছে তা অগ্রহণযোগ্য এবং আমরা আশা করি, যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে এবং কূটনীতি জয়লাভ করবে।’

 

ইরান ও ইসরাইল সংঘাতের মধ্যে সোমবার (২৩ জুন) অনেকটা নাটকীয়ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জানান, ইরান-ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এরপর তেল আবিব ও তেহরান উভয় পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাকার বিষয়টি জানানো হয়।

 

কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরাইলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাৎজ ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তেহরানের উপর তীব্র হামলার নির্দেশ দেন।

 

আরও পড়ুন: কাতারকে ধন্যবাদ জানাল ইরান

 

ক্যাৎজ বলেন, ‘আমি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) প্রধানমন্ত্রীর (নেতানিয়াহু) সঙ্গে সমন্বয় করে তেহরানে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছি, যাতে সরকারি লক্ষ্যবস্তু ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা যায়।’

 

আইডিএফ-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইরান থেকে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ওই দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পেরেছে।

 

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবির অল্প সময় পর ইসরাইলের কট্টর-ডানপন্থি নেতা, অর্থমন্ত্রী ও নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেজালেল স্মোট্টিচ এক এক্স পোস্টে বলেন, ‘তেহরানকে কাঁপিয়ে দেয়া হবে’।

 

আরও পড়ুন: পারমাণবিক কর্মসূচি পুনর্গঠনে কাজ করছে ইরান

 

ইসরাইলের এই অভিযোগের জবাব দিয়ে ইরান সরকার বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ইসরাইলে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।’ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইল ও ইরান উভয়কেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন