সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্বাস আরাঘচি বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত, তবে তেহরান যুদ্ধের চেয়ে কূটনীতির সমাধানকেই বেশি অগ্রাধকার দেয়।
ইসরাইলের সঙ্গে জুনে ১২ দিনের যুদ্ধ ও চলমান উত্তেজনা প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন করে ইসরাইলি হামলার খবর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনছি, ইসরাইল সরকার আবার হামলা চালাতে পারে। মনে হচ্ছে, তারা এখন মানসিক যুদ্ধেই ব্যস্ত। তারা ইরানে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, যা একটি বৃহত্তর যুদ্ধপরিকল্পনার অংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইরানে শান্তিতে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি গ্রেফতার
আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘তেহরান যুদ্ধের চেয়ে কূটনীতিক সমাধানকেই অগ্রাধিকার দেয়, তার অর্থ এই নয় যে, সম্ভাব্য হুমকি উপেক্ষা করবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণ যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে।’
যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইরানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে আরাঘচি বলেন, তেহরান যুদ্ধ চায় না, বরং কূটনৈতিক পথে সমস্যার সমাধান চায়। বোমাবর্ষণ করে ভবন বা সরঞ্জাম ধ্বংস করা যেতে পারে, কিন্তু প্রযুক্তি ধ্বংস করা যায় না, মানুষের মস্তিষ্ক থেকে জ্ঞান মুছে ফেলা যায় না। সামরিক শক্তি দিয়ে কোনো জাতির মনোবল ভেঙে দেয়া অসম্ভব।
আরও পড়ুন: শাহেদ ড্রোন নকল করায় যুক্তরাষ্ট্রকে উপহাস ইরানের
ইরানের ওপর জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ প্রয়োগ করে কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি। আগেও বহু বছর ধরে ইরানি জনগণ নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিল, তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। আলোচনার ও কূটনীতির পথ ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি গভীর অনাস্থার কথা জানিয়ে আরাঘচি বলেন, ইরান ওয়াশিংটনকে সৎ আলোচনাকারী হিসেবে বিবেচনা করছে না। যুক্তরাষ্ট্র কোনোক্ষেত্রেই আন্তরিক নয়। তাদের সত্যিকারের বিশ্বাস করা যায় না। তবে তাই বলে কূটনীতির পথ বেছে নেয়া থেকেও বিরত থাকা উচিত নয়।
]]>
২৩ ঘন্টা আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·