মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের বিরুদ্ধে কঠোর হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘আমরা হুতিদের ওপর কঠোরভাবে আঘাত হানব.. এবং তাদের নেতৃত্বকে ধ্বংস করব... যেমনটা আমরা তেহরানে হানিয়া, গাজায় সিনওয়ার ও লেবাননে নাসরুল্লাহর ক্ষেত্রে করেছি, ঠিক সেটাই আমরা হোদেইদা ও সানায় করব।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে হানিয়াকে হত্যার প্রায় পাঁচ মাস পর প্রথমবারের মতো স্বীকার করল ইসরাইল।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে নতুন সরকার গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ, চাপে নেতানিয়াহু
ইসরায়েল কাৎজ আরও বলেন,
আজ যখন হুতি সন্ত্রাসীরা ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে, আমি তাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই: আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুতর ক্ষতি করেছি, সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাত করেছি, আমরা শত্রুদের অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর আঘাত করেছি, সেইসঙ্গে ইয়েমেনে হুতি সন্ত্রাসী সংগঠনকেও গুরুতর আঘাত করব, যা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়োকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরু থেকেই ইসরাইলকে দায়ী করে আসছিল ইরান ও হামাস। তবে এত দিন তা স্বীকার করেনি ইসরাইল।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত, হাসপাতাল খালির নির্দেশ
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। একই সঙ্গে প্রতিশোধ হিসেবে ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার নেপথ্যের নায়কদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
গত সেপ্টেম্বরে লেবাননেও বিস্তৃত হয় ইসরাইলের এই অভিযান। গত ১৫ মাসে বোমা হামলা, গুপ্তহত্যাসহ বিভিন্ন কৌশলে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলোর নেতাদের হত্যার মিশনে রয়েছে ইসরাইল। এর মধ্যে ইসমাইল হানিয়া ছাড়াও হামাসের আরেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ৩২ বছর ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দেয়া হাসান নাসরুল্লাহকেও হত্যা করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
]]>