ইলিশ রক্ষায় পায়রা-তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান, ২৪ জেলে আটক

১১ ঘন্টা আগে
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় পায়রা ও তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বাউফল উপজেলার মৎস্য অফিস ও স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় ২৪ জেলেকে আটক করা হয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়রা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৫০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা জাল তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়।


এর মধ্যে আটক আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১১ জনকে জরিমানা এবং পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।


আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অবৈধভাবে মাছ শিকার, ট্রলারসহ ৩ জেলে আটক


আটকদের মধ্যে রয়েছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেলোয়ার বেপারীর ছেলে মো. লিখন (২১), কাদের মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩০), রহিম মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা (৩৭), মদের মোল্লার ছেলে শফিক মোল্লা (২৪), আ. গনি মোল্লার ছেলে মো. রহমান মোল্লা (৪০), বাউফল উপজেলার নয়ন গাজীর ছেলে জলিল গাজী (৫৫), বাউফল উপজেলার ফজলুল হক বেপারীর ছেলে মো. ইউসুফ বেপারী (২৮), ভোলার আলী আকবরের ছেলে আ. রব (৫১), ভোলা জেলার সামসুদ্দিনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (২০) এবং একই জেলার কালু গাজীর ছেলে মো. মিজান (২২)।


বাউফল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. এম এম পারভেজ জানান, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময় যাতে কোনো অসাধু জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য আমাদের তৎপরতা থাকবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।


আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইলিশ ধরায় ১২ জেলে আটক, জাল জব্দ


প্রসঙ্গত, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলছে। অভিযানে প্রশাসন জানিয়েছে, ইলিশের বংশবৃদ্ধি রক্ষায় এ সময় মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মা ইলিশ সংরক্ষণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মৎস্য বিভাগ জানায়।


পটুয়াখালীতে এক লক্ষের বেশি জেলে থাকলেও  নিবন্ধিত জেলে রয়েছে  ৮০ হাজার ২০ জন।  প্রজনন মৌসুমে এই ২২ দিনে ২৫ কেজি করে সরকারি ভিজিএফের চাল সাহায্য পেতে যাচ্ছে ৬৭ হাজারের বেশি জেলে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন