শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া-ডালিমা নদী পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দর্জি এবং স্থানীয় বড়ডালিমা ব্রিজ এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অবরোধের সুযোগে কম দামে ইলিশ মাছ কিনতে রাসেল খান প্রতিবেশী রাকিব, হাসান ও মাহবুব নামে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে যান। এ সময় মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশের একটি স্পিডবোট অভিযানে গেলে তারা ধাওয়া খায়। ধাওয়া থেকে বাঁচতে গিয়ে ভয় পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন রাসেল খান, এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
আরও পড়ুন: খুলনায় নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ডুবুরি আব্দুল্লাহ ও ইমরান বলেন, 'সাধারণত এক কিলোমিটারের মধ্যে নিখোঁজের লাশ পাওয়া যায়। তবে তেঁতুলিয়া নদীর স্রোত অনেক বেশি হওয়ায় তিন-চার কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে পারে। আমাদের উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।
কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন বলেন, মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে গেলে আমাদের স্পিডবোট দেখে ট্রলারের একজন নদীতে লাফ দেয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। আমরা ফায়ার সার্ভিসের টিমের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি।