ইরানের হামলায় আকাশপথ বন্ধ, ১৫০০ মানুষকে সাগরপথে সরাল ইসরাইল!

৩ সপ্তাহ আগে
ইসরাইল-ইরান সংঘাতের মধ্যে আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। বিকল্প হিসেবে সাগরপথে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। অন্যদিকে, প্রথম ফ্লাইটে নিজ দেশে ফিরেছেন অনেক ইসরাইলি। ‘অপারেশন সেফ রিটার্ন’ নামে ইসরাইলের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চলছে এই উদ্ধার অভিযান।

ইসরাইলি বিলাসবহুল ক্রুজশিপ ‘এমএস ক্রাউন আইরিস’ ভিড়েছে সাইপ্রাসের উপকূলে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইসরাইল ত্যাগ করা জাহাজটি বুধবার (১৮ জুন) সকালে পৌঁছে যায় দেশটির লারনাকা বন্দরে। জাহাজটিতে রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী। যাদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। 

 

বার্থরাইট ইসরাইল কর্মসূচির আওতায় তারা ইসরাইলে এসেছিলেন ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ভ্রমণে। যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলি পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় দ্রুত তাদের সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

 

ইসরাইল-ইরান হামলা পাল্টা হামলার জেরে গেল ১৩ জুন থেকে বন্ধ রয়েছে ইসরাইলের আকাশসীমা। রকেট, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকির কারণে বাতিল হয়েছে শতাধিক ফ্লাইট। সেই সঙ্গে লাখো যাত্রী হয়ে পড়েছেন অনিরাপদ। 

 

আরও পড়ুন: পাল্টাপাল্টি হামলায় কাঁপছে ইরান-ইসরাইল

 

বিকল্প রুট হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে কাছের সদস্য দেশ সাইপ্রাস এখন হয়ে উঠেছে প্রধান আশ্রয়স্থল। যেখান থেকে তেল আবিবগামী ফ্লাইটে সাধারণত সময় লাগে মাত্র ৫০ মিনিট। কিন্তু সাগরপথে এ যাত্রার সময় প্রায় ১৫ ঘণ্টা। দুই দফায় পারাপারের এই পরিকল্পনা করছে অপারেটর প্রতিষ্ঠান মানো মেরিটাইম। 

 

শুধু ইসরাইল থেকে নয়, সাইপ্রাসে আটকে পড়া ইসরাইলিরাও হাইফা বন্দরে ফিরবেন একই রুটে।

 

এদিকে, সাইপ্রাসের লারনাকা থেকে ইসরাইলি বিমান সংস্থা এল আলের একটি ফ্লাইট বুধবার ভোরে ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এটাই ‘অপারেশন সেফ রিটার্ন’-এর প্রথম সফল ফ্লাইট। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন ইসরাইলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ। এই উদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় বিদেশে আটকে পড়া ৫০ হাজার ইসরাইলিকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। লারনাকা ছাড়াও অ্যাথেন্স, রোম, মিলান ও প্যারিস থেকেও উদ্ধার ফ্লাইট চালানো হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন