১ সপ্তাহে আগে
২
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে সফররত ট্রাম্প বলেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য আমরা ইরানের সঙ্গে খুব গুরুতর আলোচনায় রয়েছি।
তিনি বলেন,
আমরা সম্ভবত এটি না করেই একটি চুক্তি করার কাছাকাছি চলে আসছি... এটি করার জন্য দুটি ধাপ রয়েছে, একটি খুব, খুবই সুন্দর ধাপ এবং আরেকটি হিংসাত্মক ধাপ, তবে আমি দ্বিতীয় উপায়ে এটি করতে চাই না।
তবে আলোচনার সঙ্গ পরিচিত একটি ইরানি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় এখনও কিছু ফাঁকফোকর রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানের তেল রফতানি শূণ্যে নামিয়ে আনার হুমকি ট্রাম্পের
ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে অনেক কূটনৈতিক দৌড়ঝাপ ও আলোচনার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ২০১৫ সালে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৮ সমালে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন ট্রাম্প। ফলে চুক্তিটি অকার্যকর হয়ে যায় এবং ইরানও তার পরমাণু প্রকল্প নতুন করে শুরু করে।
চলতি বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প নিজেই ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে চিঠি দেন। ইরান সরকারও তাতে সাড়া দেয়। তবে তেহরান জানায়, এই আলোচনা হবে পরোক্ষভাবে। ইরানের চাওয়া অনুযায়ী সংলাপে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আছে ওমান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনায় পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত মাসে আলোচনা শুরু হয়। গত রোববার (১১ মে) ওমানের রাজধানী মাস্কাটে চতুর্থ দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর উভয়পক্ষ এই আলোচনাকে ‘ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেন।
সোমবার (১২ মে) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখা যাক আমরা ইরান ইস্যুতে কি করতে পারি। তবে এ আলোচনার ফলাফল বেশ ইতিবাচক হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। তবে কেউ পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না। তবুও এখন পর্যন্ত আলোচনায় তেহরান যৌক্তিকতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।’
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·