ইরানের বিরুদ্ধে একা এক সপ্তাহও টিকতে পারবে না ইসরাইল

ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ বলেছেন, গত জুন মাসে ১২ দিনের আগ্রাসনে ইসরাইল সরকার শাস্তি পেয়েছে। মার্কিন সহায়তা ছাড়া তারা ইরানের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহও লড়াই করতে পারবে না।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ।

 

ইমাম খোমেনি সমাধিস্থলে বসিজ স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর এক সমাবেশে গালিবাফ বলেন, জুনে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র যে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু করেছিল, সেই প্রেক্ষাপটে ইরানের শক্তি শুধু ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আসে না; বরং জনগণের ব্যাপক সমর্থনই দেশকে শক্তিশালী করে।

 

তিনি বলেন, ‌‌‘যদি জনগণের হৃদয় আমাদের সঙ্গে থাকে, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। কিন্তু যদি তারা সঙ্গে না থাকে, তবে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও যুদ্ধের সময়ের মতো কার্যকর হবে না।’

 

ইরানের সংসদের স্পিকার দাবি করেন, ইরানি জনগণ এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের মার্কিন সমর্থকরা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: অভিযোগ ইরানের / যুক্তরাষ্ট্র ‘সমান ও ন্যায্য’ পারমাণবিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়

 

তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সংঘাত থামানোর জন্য আলোচনার চেষ্টা করছিলেন।’

 

গালিবাফ বলেন, ‘শত্রু সামরিক শক্তি নিয়ে আক্রমণ করেছিল, আর আমরাও সামরিক শক্তি দিয়ে তাদের সতর্ক করেছি এবং শাস্তি দিয়েছি।’

 

তিনি বলেন, ইহুদিবাদী সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সমর্থন ছাড়া ইরানের সঙ্গে এক সপ্তাহের বেশি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অক্ষম।

 

১২ দিনের যুদ্ধে ব্যর্থতার পরও শত্রুপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে নানা রূপে শত্রুতা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে গালিবাফ বলেন, তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধসহ বিভিন্ন কৌশলে জনগণকে ইসলামি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।

 

ইরানের সংসদ স্পিকার আরও বলেন, জনগণকে ইসলামি প্রতিষ্ঠানের পাশে রাখা—শত্রুকে মোকাবিলায় ধারাবাহিক সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

]]>