মস্কো ইসরাইল এবং ইরান উভয়ের সাথেই যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান রিয়াবকভ। এদিকে পৃথক এক মন্তব্যে রুশ পররাষ্ট্র গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সের্গেই নারিস্কিন জানিয়েছেন, ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধ সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ইসরাইলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছি। এমনকি এ নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তাও যেন তারা না করে।’
ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। হামলায় ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এসব ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার চেষ্টার পাশাপাশি পাল্টা ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে ইরান।
ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিলেও ইরান আগ্রাসনে এখনও সরাসরি যোগ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরান ও ইসরাইল সংঘাত ঘিরে রণপ্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আবার ইরানের শর্তহীন আত্মসমর্পণ চেয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ নয়, কড়া বার্তা খামেনির
গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বার্তা দেন ট্রাম্প। এক বার্তায় ইরানকে সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য্য ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে’। তারপর আরেক বার্তায় বলেন, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ চাই’।
শুধু তাই নয়, খামেনিকে হত্যার ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘খামেনি কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন তা আমরা জানি। তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।’
এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানো হলেও বুধবার (১৮ জুন) জাতির উদ্দেশে এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বলেছেন, চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়বে তার দেশ। কারও কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
আরও পড়ুন: ইরানে ইসরাইলের হামলা নিয়ে এরদোয়ানের নতুন বার্তা
খামেনির কথায়, ‘ইরান চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। একইভাবে চাপিয়ে দেয়া শান্তির বিরুদ্ধেও দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এই জাতি চাপের মুখে কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।’