বিবিসি রেডিও ফাইভের সাথে আলাপকালে ডেভিড জানান, ইরাকে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) আন্তর্জাতিক পরিদর্শন কার্যক্রমের জন্য সহায়ক হয়েছে। বিশেষ করে গোপন কর্মসূচিগুলো পরিদর্শনের উপায় বের করার ক্ষেত্রে এটি সহায়তা করেছে।
অলব্রাইট ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা। তার মতে, ‘এখন যেখানে ইসরাইল হামলা করছে, আমি বিশ্বাস করি ইসরাইল ওই স্থাপনা দীর্ঘসময়ের জন্য বন্ধ করাতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্র এটি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে।’
ইরান ফরদো পারমাণবিক স্থাপনা তৈরি করেছে দেশটির পরমাণু কর্মসূচির অংশ হিসেবে। ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছাকাছি স্থানে এ গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পারমাণবিক স্থাপনাটি অবস্থিত। এটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে ইরানের প্রেসিডেন্টের গোপন চিঠি
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসার পর থেকে এর প্রকৃতি ও পরিসর নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়। স্থাপনাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যত তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশিরভাগই মিলেছে কয়েক বছর আগে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের চুরি করে আনা ইরানের গোপন নথি থেকে।
এর মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইসরাইলের যেকোনো বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
পরমানু ইস্যুতে ওয়াশিংটন-তেহরান পরোক্ষ আলোচনার মধ্যে গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। দেশটির দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে যা তাদের দেশের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ নয়, কড়া বার্তা খামেনির
হামলা শুরুর পর ইসরাইলি বাহিনী এখন পর্যন্ত ইরানের দুটি প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে বোমাবর্ষণ করে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করেছে। হামলায় ইরানের অন্তত নয়জন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সামরিক সংশ্লিষ্ট কার্যালয় ও কমান্ড সেন্টারেও হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তেহরানের কাছে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ ফরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি এখনও লক্ষ্যবস্তু হয়নি। তবে তা তাদের ‘টার্গেট ব্যাংক’-এ রয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ফরদো অবশ্যই মোকাবিলা করা হবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন ও টাইমস অব ইসরাইল
]]>