ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কী কথা হলো মোদির?

২ সপ্তাহ আগে
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

রোববার (২২ জুন) দুপুরে সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করে মোদি জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আলোচনায় পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদি। একইসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টকে উত্তেজনা প্রশমনেরও আহ্বান জানিয়েছেন। 

 

শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরই ইরান-ইসরাইল সংঘাত অন্য মাত্রা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের প্রশাসনিক প্রধানকে ফোন করে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

 

এক্সে দেয়া পোস্টে মোদি লেখেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনাবৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আরও একবার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেয়া হয়েছে। আমরা চাই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি দ্রুত ফিরে আসুক।’ 

 

আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলা নিয়ে ‘কঠোর বার্তা’ রাশিয়ার

 

Spoke with President of Iran @drpezeshkian. We discussed in detail about the current situation. Expressed deep concern at the recent escalations. Reiterated our call for immediate de-escalation, dialogue and diplomacy as the way forward and for early restoration of regional…

— Narendra Modi (@narendramodi) June 22, 2025

 

ইরানের সঙ্গে ইসরাইলে সংঘাতে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। হামলা ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে বলেও দাবি তার। তবে ইরান যদি শান্তিস্থাপন না করে, তবে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হামলা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। 

 

এ হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠন একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলে ছোড়া ইরানের ‘খাইবার-শেকান’ মিসাইল কতটা শক্তিশালী

 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে বলে আশা করছে তেহরান। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন