ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি ১২ জুন এই ঘোষণা দেন।
ইসলামি বলেন, ‘নতুন সাইটটি সম্পূর্ণরূপে নির্মিত এবং সেটি একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থিত। সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই সেখানে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:মার্কিন হামলা ‘ক্ষমার অযোগ্য’, কূটনীতির সুযোগ নেই: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসলামির এই ঘোষণাটি আশ্চর্যজনক ছিল। তবে এখন পর্যন্ত তার দাবির কোনো নিশ্চিতকরণ বা সে সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবির সত্যতা মূল্যায়ন করেনি।
ইরানের এই সাইটটি বেশ কয়েক বছর ধরে নির্মাণাধীন ছিল বলে জানা গেছে। ইরান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে এখানে প্রবেশাধিকার দেয়নি।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল এম. গ্রোসি এপ্রিল মাসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তারা (ইরান) আমাদের বলছে, ‘এটা তোমাদের ব্যাপার নয়।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভবত এই নতুন স্থাপনাটি, যা ইরানের তৃতীয় পারমাণবিক স্থাপনা হত সেটিও ভূগর্ভস্থ। যেমন ফোর্দো এবং নাতানজ।
যেখানে রোববার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, সেখানে ইতিমধ্যে কোনো সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করা হয়েছে কিনা, এমনকি এটি ইসলামি যেমন বলেছিলেন তেমন প্রস্তুত কিনা তাও নিশ্চিত না।
ইরান তখন ঘোষণা করেছিল যে, তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার অংশ হিসেবে, তারা ফোর্দোতে পুরনো সেন্ট্রিফিউজগুলোকে সবচেয়ে আধুনিক ধরনের দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার আগে তারা তা করেছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:ইসরাইলের বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দাবি ইরানের
রোববার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
]]>