ইসরাইলের একজন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, ‘ইসরাইল এখনও আশা করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে হামলায় যোগ দেবেন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যোগ দেবে, আমরা আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানতে পারব। কিন্তু এ বিষয়ে কেউ তাদের চাপ দিচ্ছে না, তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইরানের সর্বশেষ হামলা / খামেনিকে ‘হত্যার’ হুমকি ইসরাইলের
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে (কাৎজ) যা করতে বলেন, সে অনুসারেই বক্তব্য রাখেন কাৎজ। তিনি নিজে থেকে কোনো কিছু বলেন না।’
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ‘আর বেঁচে থাকার সুযোগ দেয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েল কাৎজ।
আরও পড়ুন: ইরান, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া
তেল আবিবের কাছে হোলন শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, খামেনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, তিনি ইসরাইল ধ্বংস করতে চান। হাসপাতালের ওপর হামলার নির্দেশও তিনিই ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন।’
একটি গোয়েন্দা সূত্র সিবিএসকে জানিয়েছে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করতে রাজি হতেও পারে- এমন চিন্তায় হামলা শুরু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন ট্রাস্প। তবে তিনি ইরানের ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ফোর্দো-তে মার্কিন হামলার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বুধবার (১৮ জুন) ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার ‘ধৈর্য ফুরিয়ে গেছে’।
এছাড়া ইরানে মার্কিন সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি’।